কলয়েডধর্মী পদার্থ কি এবং কলয়েডধর্মী পদার্থ কাকে বলে (সংজ্ঞা সহ ব্যাখ্যা)
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি কলয়েডধর্মী পদার্থ কি বা কলয়েডধর্মী পদার্থ কাকে বলে সেটি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই পোস্ট টি পড়ুন।
আজকের পোস্টে কলয়েড ধর্মী পদার্থ কাকে বলে সেই সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ করবো আমরা। কলয়েডধর্মী পদার্থ কাকে বলে সেটা বুঝতে হলে আপনাকে সম্পূর্ন ব্যাখ্যাটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
কলয়েডধর্মী পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: যে সকল পদার্থ পানির সংস্পর্শে আসলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পানি শুষে নিতে পারে তাদেরকে কলয়েডধর্মী পদার্থ বলে। এসকল পদার্থ পানি শোষন করে নিজের মধ্যে নিয়ে নেয়। অর্থাৎ কলয়েডধর্মী পদার্থ পানিগ্রাহী। স্টার্চ, সেলুলোজ, জিলেটিন পানি শোষন করতে পারে এজন্য এদেরকে কলয়েডধর্মী পদার্থ বলা হয়।
কলয়েডধর্মী পদার্থ কাকে বলে বুঝতে হলে এর পাশাপাশি আমাদের আরো বেসিক জানতে হবে। তাই বুঝার সুবিধার্তে নিচে এই সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য দেওয়া হলো।
কলয়েডধর্মী পদার্থ কি
উত্তর: যেসব পদার্থের মধ্যে পানি শোষন করার ক্ষমতা রয়েছে সেসব পদার্থকে কলয়েডধর্মী পদার্থ বলে। যেমন: স্টার্চ একটি কলয়েডধর্মী পদার্থ।
কলয়েড ধর্মী পদার্থ কি কি
উত্তর: কলয়েডধর্মী পদার্থ গুলো হলো স্টার্চ, সেলুলোজ ও জিলেটিন যা পানি শোষণ করে।
কলয়েড ধর্মী পদার্থ কাকে বলে
কলয়েডধর্মী পদার্থ যা কলয়েড বা কণাগুলির বিশেষ বিন্যাসে উপস্থিত থাকে। কলয়েডধর্মী পদার্থ সম্পর্কে ধারণা করা হয় পৃথিবীর অনেক পর্যায়ে প্রযুক্তিগত এবং প্রাকৃতিক বিষয়ে যেমন কোন কণার চালনা, তাপমাত্রা ইত্যাদি।
কলয়েডধর্মী পদার্থ কোন একটি নির্দিষ্ট পদার্থ নয়, বরং বিভিন্ন পদার্থে এর উপস্থিতি দেখা যায়। কলয়েড পদার্থ বিশেষত তাপমাত্রা হিসাবে চরম কৌণিক বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে এবং এটি অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের কণা বিন্যাসে পাওয়া যায়। কলয়েডধর্মী পদার্থে কণার অবস্থান ও গতি দ্বারা তার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়।
💡 আরো পড়ুন : পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় কি জেনে রাখুন।
একটি উদাহরণ হল "হিউম্যান ডিএনএ" যা একটি বিশেষ প্রকারের কলয়েডধর্মী পদার্থ হিসাবে বিবেচিত হয়। হিউম্যান ডিএনএ কলয়েডধর্মী হওয়ার কারণে এটি ঠান্ডা হলে সঙ্কুচিত হয় এবং গরম হলে বিস্ফোরণশীল হয়। এটি অসংখ্য অন্য পদার্থের মধ্যে বিদ্যমান হয় এবং মানব প্রকৃতির প্রতিফলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সেলুলোজ কি জেনে নিন
সেলুলোজ উদ্ভিদের গঠনের অন্যতম একটি উপাদান। সেলুলোজ হল একটি জৈব পদার্থ যা উদ্ভিদের সেলস বা কচি পরিত্যাক্ত করার জন্য উপযোগী। এটি উদ্ভিদগুলির প্রধান স্ক্রাকচর এবং ফাইবার এর উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
সেলুলোজ হল প্রাকৃতিক পলিমার এবং পাচনযোগ্য ও নিঃশব্দ প্রকৃতির একটি স্থায়ী উপাদান। এর রাশায়নিক সূত্র C6H10O5 এবং এটি পানিতে অপরিসীম প্রস্তুত হয়। সেলুলোজ একটি প্রাকৃতিক বিশ্রামযাত্রী এবং উদ্ভিদের স্থায়িত্ব এবং ধর্মকে নিশ্চিত করে।
সেলুলোজ উদ্ভিদগুলির পরিত্যাক্ত বা শেষ হয়ে যাওয়া কচি থেকে উপস্থিত থাকে এবং পাঁচালী ও ফাইবার এর উত্পাদনে ব্যবহৃত হয়। সেলুলোজ একটি প্রকৃতিক উপাদান যা ব্যবহার করা একটি সহজ ও পরিবেশমত উপায় যা প্রকৃতির বিকল্পগুলি থেকে উৎপাদন
সেলুলোজ একটি বিশাল প্রয়োজনীয় উপাদান যা প্রাকৃতিক এবং সহজ উৎপাদনের কারণে প্রয়োজনীয় এবং বিপদজনক পরিবেশে বিকল্পগুলির উপস্থিতির জন্য উপযুক্ত। এটি ক্ষুদ্র প্রাণিগুলির খাবার হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং এটি উদ্ভিদের কচি থেকে তৈরি ফাইবার এবং পাঁচালী এর উত্পাদনে ব্যবহৃত হয়।
একটি স্বাভাবিক উদাহরণ হল একটি গাছের কচি। কচি উদ্ভিদের উপর থাকা পরিত্যাক্ত তথা শেষ হওয়া অংশ। এই কচি থেকে সেলুলোজ তৈরি করা হয় যা উদ্ভিদগুলির ফাইবার এবং পাঁচালী এর উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
একটি অন্যতম উদাহরণ হল কাগজ। কাগজ একটি পদার্থ যা প্রকৃতি থেকে উৎপাদন হয় এবং সেলুলোজ এর প্রধান উৎস।
ইমবাইবিশন কি বা ইমবাইবিশন কাকে বলে
উত্তর: কলয়েডধর্মী পদার্থ, শুকনো বা অর্ধ শুকনো পদার্থের তরল পদার্থ শোষন করার বিশেষ প্রক্রিয়াকে ইমবাইবেশন প্রক্রিয়া বলা হয়। উদ্ভিদ দেহের কোষপ্রাচীর, প্রোটোপ্লাজম ইত্যাদির তরল পদার্থ শোষন করার প্রক্রিয়াকে ইমবাইবিশন প্রক্রিয়া বলে।
ইমবাইবিশন কেন হয়
উত্তর: উদ্ভিদ অঙ্কুরোদগম এর সময় অধিক পরিমাণে মাটি থেকে ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় তরল পদার্থ শোষন করে নেয়। উদ্ভিদ এর অঙ্কুরোদগম এর সময় পানি ও অন্যান্য জৈব চাহিদার ঘাটতি পূরণ করতে উদ্ভিদ ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় পানি শোষন করে। আর এই প্রক্রিয়ায় কলয়েডধর্মী পদার্থ ব্যবহার করে উদ্ভিদ।
আমাদের কথা
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আশা করি আপনারা বুঝতে সক্ষম হয়েছো যে কলয়েডধর্মী পদার্থ কাকে বলে। এই সম্পর্কে বা অন্য কোনো বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আজকের পোস্ট টি এই পর্যন্তই রইলো। সবাই ভালো থাকবেন, খোদা হাফেয।
Telegram GroupJoin Now
Facebook PageFollow Now