বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ২০২৩
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ২০২৩
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা |
আসসালামুআলাইকুম আশা করি সকলে সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকে আমরা আবারও একটি নতুন বিষয় নিয়ে চলে আসলাম।
আজকের বিষয়টি এডুকেশনাল ক্যাটাগরিতে থাকবে। আজকে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী বাংলা রচনা জানবো।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি রচনা। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এই রচনা টি অনেক গুরুত্বপূর্ন।
এই রচনা টি পরীক্ষায় বেশি বেশি আসার সুযোগ থাকে তাই আপনি যদি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে এই রচনাটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ন।
এই রচনাটি আপনার জেনে রাখা উচিত। আমরা এখানে আরও আলোচনা করেছি কিভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ২০০ শব্দের বা বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ৩০০ শব্দ এর মধ্যে লেখা যায়।
আবার আমরা যদি একটু ডিটেলস দিয়ে লিখি তাহলে বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ১০০০ শব্দে লেখাও কোনো কঠিন কাজ না। কারণ মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী লিখতে গেলেই অনেক লেখা হয়ে যায়।
আর বঙ্গবন্ধু তো মুক্তিযুদ্ধেরই একজন মহানায়ক ছিলেন। যাইহোক আমরা আর কথা না বাড়িয়ে চলে জাই বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনায়।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ১০০০ শব্দ
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ১০০০ শব্দে লেখার প্রয়োজন হলে রচনার ভূমিকা, বঙ্গবন্ধুর জীবনের অন্যান্য কাহিনী যেমন তার বাল্যকালের সততা, আদর্শ তার রাজনৈতিক জীবন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তার ভূমিকা এই বিষয়গুলো একটু বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।
এই বিষয়গুলো নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করলেই ১০০০ শব্দের রচনা লেখা কোনো ব্যাপারই না। তবে মূল মূল বিষয়গুলো রাখতে হবে নতুবা রচনার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
রচনার মধ্যে যে বিষয়গুলো অবশ্যই রাখতে হবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে নিচে একটি রচনা দেওয়া হয়েছে। ওই রচনাটি অনুসরণ করুন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা সংক্ষিপ্ত আকারে কিভাবে লিখবেন দেখে নিন
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ক্ষেত্রবিশেষ একেক ভাবে লিখতে হয়। কারো কারো জন্য ৩০০ শব্দে লিখতে হয় কারো কারো জন্য ২০০ শব্দে লিখতে হয় আবার কারো কারো জন্য ১০০০ শব্দে লিখতে হয় আবার সংক্ষেপে ও লিখতে হয়।
সংক্ষেপে বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা লেখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেনো বঙ্গবন্ধুর জন্ম, রাজনৈতিক জীবন, মৃত্যু এই তিনটি বিষয় বাদ না পরে।
এই তিনটি বিষয় সংক্ষেপে আলোচনা করে আপনি বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা সংক্ষেপে রচনা করতে পারেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা pdf
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা pdf আকারে পেতে আপনার জিমেইল অ্যাড্রেস টি কমেন্ট করুন। আমরা নোটিফিকেশন পেলেই আপনার জিমেইল পাঠিয়ে দিবো।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা pdf এর মধ্যে আপনি পাবেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ২০০ শব্দের, বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ৩০০ শব্দের এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ১০০০ শব্দের মধ্যে লেখা।
নিচে আমরা মূল বিষয়বস্তু সম্বলিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা দিয়ে দিয়েছি। এটি যেকোনো শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা লিখতে পারবেন। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এই রচনাটি প্রযোজ্য।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ২০০,৩০০ ও ১০০০ শব্দের
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা - ভূমিকা / সূচনা
বাংলার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অনবদ্য নাম। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নেতা এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতাদের অন্যতম।
তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয় বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতা আজীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার চেষ্টা করে গেছেন। তাই তো কবিকণ্ঠে উচ্চারিত হয়
"যতদিন রবে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-গৌরী বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার, শেখ মুজিবুর রহমান।"
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা - জন্ম ও শিক্ষা
১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই তিনি মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
১৯৪৭ সালে শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ বিদায়ের পর শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আইন বিভাগে ভর্তি হন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা - রাজনীতিতে দীক্ষা লাভ
ছাত্র জীবনেই তার রাজনীতিতে হাতে খড়ি ঘটে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন সময়ে প্রথম জেলে যান।
পাকিস্তান আন্দোলনের সময় তিনি মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের নেতা হিসেবে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি দেখেছিলেন বাংলার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে।
তিনি বাংলার গৌরব ও গর্ব নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রমুখের সহচর্যে এসেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা - সংগ্রামী জীবন
শেখ মুজিব তদানীন্তন আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগদান করেন এ সময়ে তিনি মাওলানা ভাসানীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান।
দেশের আপামর জনসাধারণের ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বহুবার কারাবদ্ধ হয়েছেন। যুবক বয়সে তিনি একবার মন্ত্রী হয়েছিলেন কিন্তু দলকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন।
১৯৬৬ সালে তিনি যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তখন জাতীয় মুক্তি ও স্বায়ত্তশাসনের জন্য ছয় দফা দাবির কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা - আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা
পাকিস্তানের সামরিক ডিক্টেটর বাঙালির গণতান্ত্রিক চেতনাকে নওশাদ ও বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করে।
এই মামলায় ইতিহাসে আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা হিসেবে অভিহিত হয় ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব বাংলার অবস্থান ঘটলে ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
১৯৭০ এর নির্বাচন ও ১৯৭১ এর স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির ১৬৯ টি আসনের মধ্যে 167 টি আসনে বিজয়ী হয়ে নিরঙ্কুসংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে।
কিন্তু পশ্চিমা কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগের সরকার গঠন করতে না দিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে এবং 1971 সালের 25 শে মার্চের কালোরাতে শুরু হয় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ।
শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান চৌধুরীর কাছে পাঠান।
এই ঘোষণাপত্রেই ২৬ শে মার্চ হান্নান চৌধুরী চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করেন।
💡 আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু সম্পর্কে ভাইবা প্রশ্ন ও উত্তর [A to Z]
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা - মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্ভমনা রাজনৈতিক দল ও দেশের আপামর জনগণের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে মুক্তিবাহিনী। গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার।
দীর্ঘ নয় মাস রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে থেকে মুক্তি ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং যুদ্ধস্থ বাংলাদেশের হাল ধরেন শক্ত হাতে।
শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জনক হিসেবে বাংলাদেশ ও বিশ্বে লাভ করেন। ব্যাপক পরিচিতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সদ্য স্বাধীন প্রাপ্ত যুদ্ধহত বাংলাদেশে অনেক কিছুর অভাব ছিল।
বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই নাযুক। জাতীয় শেখ মুজিবুর রহমান তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অল্পদিনের মধ্যেই দেশকে মোটামুটি একটি ভালো অবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হন।
তিনি যখন ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কারের হাত দেন সেই মুহূর্তে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এই মহান বীর কে।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা - উপসংহার
শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ভাগ্যাহত বাঙালি জাতির মুক্তির অকুতোভয় অগ্রদূত। তাঁর বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর তাইতো বলা যায়, ব্যক্তি মুজিবের মৃত্যু হলেও মুজিবাদর্শের মৃত্যু নেই।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা টি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের কাছে যদি এই পোস্টটি গুরুত্বপূর্ন মনে হয় তাহলে আপনার ফেইসবুক আইডিতে একটি শেয়ার দিয়ে দিন।
আপনার বন্ধু বান্ধব এবং অন্যদেরকে দেখার সুযোগ করে দিন। আজকের আলোচনা এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর Teplive.com এর সাথেই থাকবেন।
Telegram GroupJoin Now
Facebook PageFollow Now