সামান্তরিক কাকে বলে পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ ২০২৩
সামান্তরিক কাকে বলে পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ ২০২৩
সামান্তরিক কাকে বলে |
সামান্তরিক কাকে বলে? এই টাইটেলটি দেখেই আপনি এই পোস্টটি পড়ার জন্য ক্লিক করেছেন। অনেকেই গুগুলে সার্চ করে সামান্তরিক কাকে বলে? আপনি যদি জানতে চান সামান্তরিক কাকে বলে তাহলে এই নিবন্ধটি আপনার জন্যই। আজকের নিবন্ধে আমরা জানবো সামান্তরিক কাকে বলে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা জেনে নেই সামান্তরিক কাকে বলে এবং সামান্তরিক এর বৈশিষ্ট সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে।
সামান্তরিক কাকে বলে সংজ্ঞা জেনে নেই
সামান্তরিক কাকে বলে - এর উত্তর হলো যেইসকল চতুর্ভুজের বিপরীত দুই বাহু একে অপরের সমান এবং সমান্তরাল ধরনের সেইসকল চতুর্ভুজকে সামান্তরিক বলা হয়। সামান্তরিকের বিপরীত কোণগুলো পরস্পর সমান হয়।
সামান্তরিক কাকে বলে চিত্রসহ ব্যাখ্যা
সামান্তরিক কাকে বলে |
উপরের চিত্রে, ABCD চতুর্ভুজটি একটি সামান্তরিক। এর বাহুগুলোর দৈর্ঘ্য মেপে দেখি যে, যে কোন দুইটি বিপরীত বাহুর দৈর্ঘ্য সমান। অর্থাৎ,
AB বাহু = CD বাহু এবং
BC বাহু = DA বাহু।
চাঁদার সাহায্যে উপরের সামান্তরিকের ∠DAB , ∠ABC , ∠DCB , ∠CDA কোণ চারটি পরিমাপ করে দেখি যে,
∠DAB = ∠BCD এবং
∠ABC = ∠CDA
∠DAB ও ∠BCD এবং ∠ABC ও ∠CDA সামান্তরিকের দুই জোড়া বিপরীত কোণ সমান। এখন সামান্তরিকের কর্ণ দুইটি অঙ্কন করি; এরা পরস্পরকে O বিন্দুতে ছেদ করেছে।
পরিমাপ করে দেখি যে, AO ও OC রেখাংশ দুইটির দৈর্ঘ্য সমান; আবার OD এবং BO রেখাংশ দুইটির দৈর্ঘ্যও সমান। অর্থাৎ, কর্ণ দুইটি তাদের ছেদবিন্দুতে সমদ্বিখন্ডিত হয়।
💡আরও দেখুন : পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় কি জেনে রাখুন।
সামান্তরিক কাকে বলে | সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল
ইতিপূর্বেই আমরা জেনেছি যেসকল চতুর্ভুজের বিপরীত বাহু গুলো সমান ও সমান্তরাল হয় সেসকল চতুর্ভুজকে সামান্তরিক বলে। এখন আমরা জানবো কোনো সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল কিভাবে নির্ণয় করা হয়।
সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয় |
উপরের চিত্রে আমরা দেখতে পারছি এক পাশে একটি লম্ব টানা হয়েছে। এর কারণ আমরা যদি যদি কোনো সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে চাই তাহলে আমাদের ওই সামান্তরিকের উচ্চতা প্রয়োজন। তাই আমরা সামান্তরিকের ভূমির সাথে একটি লম্ব একে নিয়েছি।
সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করার সূত্র হলো : b×h বা ( ভূমি × উচ্চতা )
ভূমি এবং উচ্চতার গুণফল বের করলেই আমরা সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল পেয়ে যাবো।
সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয়
সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয় করতে হলে আমাদের সামান্তরিকের পাশাপাশি বা সন্নিহিত দুই বাহুর যোগফল কে 2 দিয়ে গুণ করতে হবে।
সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয় |
উপরের চিত্রে আমরা একটি সামান্তরিক দেখতে পারছি। আমরা যদি একটি সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয় করতে চাই তাহলে আমাদের সামান্তরিকের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ জানতে হবে।
সামান্তরিকের পরিসীমা নির্ণয় সূত্র হলো : দুই × ( সন্নিহিত বাহু দুইটির যোগফল ) বা 2 × (দৈর্ঘ্য + প্রস্থ )
এভাবে আমরা সূত্র প্রয়োগ করে মান বসিয়ে যেকোনো সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল এবং পরিসীমা নির্ণয় করতে পারবো।
সামান্তরিক এর বৈশিষ্ট সমূহ জেনে নেই
আমরা যাতে দেখেই চিনতে পারি এটি একটি সামান্তরিক সেইজন্য আমাদেরকে সামান্তরিকের বৈশিষ্ট জানতে হবে। নিচে সামান্তরিকের বৈশিষ্ট উল্লেখ করা হলো :
- সামান্তরিকের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল হবে।
- সামান্তরিকের বিপরীত কোণ গুলো সমান হবে।
- সামান্তরিকের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমদ্বিখণ্ডিত করবে।
- সামান্তরিকের বিপরীত বাহুদ্বয়ের দৈর্ঘ্য সমান হবে।
- সামান্তরিকের চার কোণের সমষ্টি ৩৬০ ডিগ্রি হবে।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো চিহ্নিত করে আমরা সহজেই বুঝতে পারবো সামান্তরিক কাকে বলে কোনটি সামান্তরিকের চিত্র।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত উত্তর পেয়ে গেছেন। আমরা এই নিবন্ধ থেকে জেনেছি সামান্তরিক কাকে বলে , সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল এবং পরিসীমা নির্ণয় করার সূত্র এবং সামান্তরিকের বৈশিষ্ট।
আশা করি আপনার কাছে নিবন্ধটি ভালো লেগেছে। তাই অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিতে আপনার ফেসবুক আইডিতে একটি শেয়ার করে দিন।
আজ এই পর্যন্তই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত দর্শন করুন। কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন করে জানাতে পারবেন। আল্লাহ হাফেজ।
Telegram GroupJoin Now
Facebook PageFollow Now
আমাদের অন্যান্য পোস্ট গুলি দেখতে পারেন। আপনার কোনো রিকোয়েস্ট থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ☺️