ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় | Online income bd
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আশা করি ভালো আছেন। আপনি কি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? আপনি Online Income 2024 এর উপায় গুলো জানতে চান?
ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় বা Online Income BD এই টাইটেল দেখে যেহুতু আপনি এই নিবন্ধে ক্লিক করেছেন তার মানে আপনি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে চাচ্ছেন।
হ্যা, আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আজকে আমরা ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানবো। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
অবশ্যই সম্পূর্ন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন লাইন গ্যাপ দিলে হয়তো মূলভাব বুঝতে পারবেন না তাই অনুরোধ রইলো সম্পূর্ন পড়ার।
💡আরও দেখুন: কোন প্রকার স্কিল ছাড়াই টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করুন লাখ টাকা পর্যন্ত | Crypto Mining Telegram Earning Bot
ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার কোন উপায় আছে কি!
অনেকেই ভাবছেন ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা কি সত্য নাকি। আসলে একেবারে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় না নূন্যতম হলেও এমবি খরচ পড়ে, আর যদি বন্ধুর বা প্রতিবেশীর ওয়াইফাই ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে তো সমস্যা নেই আপনার জন্য ফ্রিতেই টাকা ইনকাম করার সুবিধা রয়েছে।
আমরা আজকে এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জানবো যেগুলো আমরা খুব নগণ্য খরচে আমরা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পড়বো তাও আবার ঘরে বসেই। অনলাইন মানুষের জীবনকে যেমন সহজতর করে দিয়েছে তেমনি অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক স্প্যাম বা প্রতারণা হয়ে থাকে। সেদিকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তাই আমাদের বেশি বেশি জানতে হবে।
আমরা যদি ভালো করে না জেনেই কাজ করতে যাই তাহলে আমাদের সফলতার দেখা তো মিলবেই না বরং নানা দিক দিয়ে ক্ষতি বা লস হবে। তাই আপনাকে সাজেস্ট করবো যে কাজই করেননা কেন কাজে যাওয়ার আগে সেই কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
অনলাইন থেকে আয় করার নানান রকমের উপায় রয়েছে। আমাদের সেই উপায়গুলো সম্পর্কে প্রথমে জানতে হবে তারপর আমার যেই কাজগুলো করার ক্ষমতা রয়েছে বা যেই কাজগুলো আমি করতে পারবো এমন আত্মবিশ্বাস দেখা যাবে সেই কাজগুলো নিয়ে আরো ঘাটাঘাটি করতে হবে তাহলে আমরা সেই কাজগুলোর মাধ্যমে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবো।
আপনি এই পোস্টটা পড়ে কিংবা যেকোনো জায়গা থেকেই শিখেন না কেনো আজকেই কিন্তু আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। আজকে যদি আপনি শুরু করেন তাহলে আজকে থেকে আপনাকে online income bd এর কাজগুলো কি কি সেগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এরপর আপনার যখন মনে হবে এই কাজটা আমার কাছে সহজ লাগতেছে সেই কাজটা আপনি ফোকাস করবেন এরপর ওই কাজ নিয়ে প্রাকটিস করতে করতে একসময় আপনি ওই কাজের মাস্টার হয়ে যাবেন।
ঠিক তখন আপনি মার্কেট প্লেসে নামবেন এবং প্রফেশনালি কাজ করা শুরু করবেন আর তখন থেকেই মূলত আপনার ভালো পরিমাণে ইনকাম আসবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তাই তাড়াহুড়া মনোভাব দুর করুন এবং চলুন জেনে নেই কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।
ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩ | Online Income BD
আজকের নিবন্ধে আমরা জানবো অনলাইন থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার দারুন কয়েকটি উপায় যেগুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে ইনশাল্লাহ আপনি ভালো পরিমাণে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। ফ্রিতে টাকা ইনকাম মানে হল আপনার প্রথমে সেরকম ভাবে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না। ফ্রি তেই শুরু করতে পারবেন।
ফেইসবুক থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়
হ্যা, ফেইসবুক বর্তমানে অন্যতম একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এখানে আমাদের সমাজের অসংখ্য লোক প্রতিনিয়ত ভিজিট করে। তাই আমরা অনলাইন ইনকাম এর সূচনা হিসেবে এখন থেকেই হাতেখড়ি নিতে পারি।
ফেসবুক থেকে হাজারো উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার মাথা খাটাইতে হবে যে কিভাবে কি করলে ইনকাম করা যাবে মানুষজন চিনবে। আমরা কয়েকটি দারুন উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
ফেসবুকে নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করা যায় খুব সহজেই। আপনার যদি একটি ফেসবুক একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি এই কাজটি করে মাসে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার অব্দি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুকে জনপ্রিয় হয়ে উঠা তুলনামূলক সহজ।
খুব দ্রুত অনেক মানুষের নিকট পৌঁছানো যায়। এজন্য ফেসবুক নিয়ে কাজ করা তুলনামূলক সহজ। আপনি হয়তো ভাবছেন ফেসবুকে কি ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করা যায়? বর্তমানে দেখবেন অনেক লোকই ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করে দিছে।
ফেসবুকে যেহুতু আমার সোনার মত সাধারণ লোক থাকে সেহেতু যেকোনো প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা যায়। যেমন আপনি একটা পেইজ বা গ্রুপ খুলতে পারেন এরপর বন্ধু বান্ধব দের সেই পেইজে বা গ্রুপে ইনভাইট করবেন আস্তে আস্তে আপনার জনবল বাড়তে থাকবে।
প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে মাঝে মধ্যে একদমই আশার আলো দেখতে পাবেন না সেই মুহূর্তে যদি হাল ছেড়ে দেন তবে আপনি সফল হতে পারবেন না। এরপর আপনি নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন।
বই পড়ার চাহিদা মানুষের এখনও কমেনি। অনলাইনে বইয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অল্প পুঁজি তে আপনি বই বিক্রি করতে পারেন। আপনি চাইলে পুঁজি ছাড়াই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার নিজের প্রোডাক্ট নয় অন্য কারো প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করতে হবে যেটা অ্যাফিলিয়েট এর মধ্যে পরে।
আরো কিছু প্রোডাক্ট বিক্রি করা যায় যেমন, রাবার, পেন্সিল পড়ালেখার জিনিসপত্র, সাজগোজের জিনিসপত্র, কাপড়-চোপড় ইত্যাদি।ভালো ইনকাম করতে হলে আপনার প্রয়োজন জনবল, জনবল যতো বেশি হবে আপনার প্রোডাক্ট ততো মানুষের নিকট পৌঁছাবে।
আপনাকে আরো আইডিয়া দেই এই ব্যাপারে, বর্তমান সময়ে কি জিনিসের চাহিদা বেশি বা আপনার আশপাশে আপনার এলাকায় কোন জিনিসের চাহিদা বেশি সেই আইডিয়া নিয়ে কাজ করলে বেশি লাভ হবে।
যেমন আমার এলকায় ওষুধের দোকান খুব কম। তাই আমি একটু ওষুধের অনলাইন শপ খুলেছি ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে। মানুষদের ওষুধ প্রয়োজন হলে তারা আমার ওই পেইজে জানায় এবং আমি তাদের অর্ডার সংগ্রহ করে তাদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেই। এভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।
ফেসবুক থেকে আরো নানা উপায়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার যদি কোনো স্কিল থেকে থাকে তাহলে সেটি দিয়ে আপনি ফ্রিতেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ধরুন আপনি খুব ভালো ছবি আঁকতে পারেন কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন কিংবা ভিডিও এডিটিং করতে পারেন তো এই বিষয় সম্পর্কে আপনি একটি ফেসবুক পেইজ বা গ্রুপ খুলে অন্যদেরকে জানালেন বিজ্ঞাপন দিলে যে ছবি আঁকা হয়, গ্রাফিক্স ডিজাইন করা হয় বা ভিডিও এডিটিং করা হয়।
আপনার এই বিজ্ঞাপন দেখে লোকেরা আপনার কাছে আসবে আপনার সেবা নিতে নিশ্চই বিনামূল্যে সেবা নিবে না তারা আপনার কাজের বিনিময়ে কিছু টাকা দিবে এটাই আপনার ফ্রিতে টাকা ইনকাম।
আরো আছে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি বা নরমাল ফটোগ্রাফি। এই কাজের জন্য যদিও ক্যামেরা লাগে তবে এতে অনেক ইনকাম হয়। এখনকার মানুষ বিয়েবাড়িতে কিংবা এমনি সময়ে ফটোগ্রাফি করে তখন আপনি যদি তাদেরকে এই ফটোগ্রাফি সেবা দিতে পারেন তাহলে অনেক টাকাই ইনকাম কর জায়। একটা ছবি তোলায় 50 থেকে 500 টাকা অব্দি নেওয়া যায় ছবির গুণগত মান বিচার কর।
💡 আরো দেখুন : পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় কি জেনে রাখুন।
তাই আপনাকে অনেক ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। কারণ জনবল একদিনেই হয়ে যায় না আস্তে অস্তে হয়। আপনি গ্রাহকদের থেকে অর্ডার কালেক্ট করতে পারেন এবং তাদেরকে পণ্য সরবরাহ করে আপনি একটি ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
এভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও ফেসবুকে আপনি মার্কেটিং করতে পারেন। আপনার যদি কোনো দক্ষতা থাকে যেমন আপনি ভালো ছবি এডিট করতে পারেন বা গ্রাফিক ডিজাইন পারেন ইত্যাদি কোনো বিষয়ে যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি সেগুলো সেবা প্রদানের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক আপনার ইনকাম করার জন্য সহজ মাধ্যম কারণ এখানে সহজেই কাস্টমার এর নিকট পৌঁছানো যায়। এভাবে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমরা যারা ভবিষ্যতে কোনো কাজ করতে চাই ফ্রিল্যান্সিং বা এই টাইপের কিছু তাদের সকলেরই উচিত অন্তত ফেসবুকে একটা প্রোফাইল, গ্রুপ এবং ফেসবুক পেইজ খুলে সেগুলো আপডেট রাখা।
কারণ আপনার যদি জনগন বাড়তে থাকে বা আপনার জনবল থাকে আপনার ফ্রিল্যান্সিং আরো সহজ হয়ে যাবে। তাই আপনি যদি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে চান এখন কিংবা পরে তাহলে নূন্যতম একটি পেইজ বা প্রোফাইল খুলে রাখুন এবং জনগণের বাড়াতে থাকুন।
ইউটিউব থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়
ফেসবুকের পর আমরা ইউটিউব ব্যবহার করেও ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারি। ইউটিউব হলো একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। তবে বর্তমানে ইউটিউব টেক্সট এবং ইমেজ পোস্ট করার সুবিধাও দিচ্ছে।
ইউটিউব থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি ইউটিউব একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সেই একাউন্ট ব্যবহার করে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এরপর ইউটিউব চ্যানেল ব্যাবহার করে আপনি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আমরা আপনাদের কিছু উদাহরন দিবো জাতে বিষয়টি ক্লিয়ারলি বুঝতে পারেন। ইউটিউব থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে আগে একটু পপুলার হতে হবে। সেজন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও ছাড়তে হবে।
ইউনিক এবং আকর্ষণীয় এবং দরকারি ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ করলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই আপনি চ্যানেলটি ভাইরাল হয়ে যাবে। তখন আপনি আপনার এই ইউটিউব চ্যানেলটি ব্যবহার করে নানা ভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার চ্যানেলে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইব হয় তাহলে আপনি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর এটা একদম ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়। বর্তমানে গ্রাম গঞ্জের অনেক ছেলে পেলেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও থেকে এখন মাসে 20,000 থেকে 50,000 টাকা ইনকাম করছে। আবার আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব সংখ্যা অনেক বেশি হলে আপনি বিভিন্ন স্পনসর নিয়েও কাজ করতে পারেন।
আর গুগল এডসেন্স থেকে স্পনসর এ বেশি ইনকাম করা যায়। তাহলে তো জানলেন কিভাবে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনি ইউটিউব থেকে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে প্রতিদিন রুটিন মত আপনার ভিডিও ছাড়তে হবে তাহলে একটা ভালো পরিমাণ ইনকাম আসবে।
আর ইউটিউব থেকেই আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। ইউটিউব থেকেই জানতে পারবেন কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়, কিভাবে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় সবই জানতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে সফলতা অর্জন করতে চাইলে আপনাকে সুন্দর করে শুরু করতে হবে এবং ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। মিত্থা তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনার ভিজিটর রা পছন্দ করে এরকম জিনিষ নিয়ে আগাইতে হবে আপনাকে।
আপনি কি করে বুঝবেন আপনার ভিজিটর রা কোন গুলো পছন্দ করে? আপনি যে বিষয় নিয়ে ভালো পারেন সেই বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন যখন দেখবেন এই ভিডিও টায় বা এই কন্টেন্ট টায় ভিজিটর রা বেশি রেসপন্স করতেছে তখন সেই টপিক নিয়েই কাজ করবেন।
এভাবে আপনাকে ভিজিটর দের পছন্দ অ্যানালাইসিস করতে হবে। বর্তমানে ফুড ব্লগিং ইউটিউব ভিডিও বেশি ভাইরাল হয় ভিউ বেশি পাওয়া যায় তো আপনি ফুড ব্লগিং করে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আবার আপনি যদি কোনো বিষয় সম্পর্কে ভালো জানেন তাহলে সেই সম্পর্কে টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন। মনে রাখতে হবে যে ইউটিউব মনিটাইজেশন থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে 60,000 ঘণ্টা ওয়াচ টাইম এবং 1,000 সাবস্ক্রাইব বানাতে হবে।
আর আপনি যদি মনিটাইজেশন ছাড়া ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের রিভিউ প্রমোট ভিডিও বা মোবাইল বা গেজেটের প্রমোট ভিডিও করে স্পুনসর থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগিং করে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের অন্যতম একটি কাজ হলো ব্লগিং করা। ব্লগিং তাদের প্রিয় একটি কাজ হয়ে উঠেছে। আসলে ব্লগিং করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন তাও আবার ফ্রিতেই।
ব্লগিং করতে চাইলে আপনাকে এই বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে হবে ঘাটাঘাটি করতে হবে। ব্লগিং কি? আমরা কোনো কিছু সম্পর্কে জানতে চাইলে কি করি? নিশ্চই গুগলে এসে সার্চ দেই যে "ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়" তারপর আমাদের সামনে অনেকগুলো ফলাফল প্রদর্শিত হয় এগুলোই একেকটা ব্লগ।
এইযে আপনি এই পোস্টটি পড়তেছেন এটাও ব্লগ। এটা যে লিখেছে সেও একজন ব্লগার। হ্যা, ব্লগিং যারা করে তাদেরকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগিং কিভাবে করবো? বা ব্লগিং কিভাবে করে? ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় কি? আমরা এখন এইসকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
ব্লগিং হলো লেখালেখির কাজ। এর জন্য আপনাকে লেখালেখি করা জানতে হবে উল্টাপাল্টা লিখলেই হয় না নিয়ম জেনে সেইভাবে লিখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ব্লগিং করার জন্য সেরা দুইটি প্ল্যাটফর্ম হলো ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার ডট কম।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যদি ব্লগিং করতে চান টাকা ইনকাম করার লক্ষে তাহলে সেখানে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। ডোমেইন কিনতে হবে হোস্টিং কিনতে হবে ইত্যাদি আরো খরচ আছে।
অন্যদিকে ব্লগার ডট কম থেকে ফ্রিতেই ব্লগিং করা যায়। এটাও অনেক ভালো ফ্রিতে ব্লগিং করার জন্য এইটাই বেস্ট। এখানে আমি শুধু আলোচনা করবো ফ্রিতে ব্লগিং দ্বারা কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সেই ব্যাপারে অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে পোস্টটি আরো বড়ো হয়ে যাবে।
সেই বিষয়গুলো আপনারা ইউটিউবিং করে জেনে নিলে ভালো হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই ব্লগিং করে ফ্রিতে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। ব্লগিং হলো লেখালেখির কাজ আগেই বলেছি।
আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল টিপস এবং অন্যান্য ইনফরমেশন নিয়ে লেখালেখি করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি টেকনোলজি নিয়েও লিখতে পারেন আবার পড়াশুনা বা এডুকেশন নিয়েও লিখতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে পটু সেই বিষয় নিয়ে কাজ করলে ভালো হবে।
আর আপনি যদি কোনো বিষয়েই ভালো না জানেন তাহলে আপনাকে রিসার্স করতে হবে জানতে হবে জানতে জানতে দেখবেন পটু হয়ে গেছেন তখ আবার সেই বিষয় নিয়ে ব্লগিং করবেন।
এভাবে যদি আপনি ভালো করে ১০ থেকে ৫০ টা সুন্দর পোস্ট তৈরি করতে পারেন তাহলেই আপনি গুগল এডসেন্স পেয়ে যাচ্ছেন আর সেখান থেকে ইনকাম করতে পারছেন একদম বিনা খরচেই।
আর যদি ডোমেইন কিনে ব্লগিং করেন তাহলে সেটা আরো ভালো। না কিনলেও ততটা সমস্যা নেই যদি আপনার পোস্ট বা ব্লগ গুলো ভালো মানের হয়। আবার আপনি গুগল এডসেন্স এর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর স্পনসর বা প্রমোট করেও ইনকাম করতে পারেন।
আপনি এই কাজটি শুধুমাত্র আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডদের নিয়েই করতে পারেন। ধরুন, আপনি কিছু গল্পঃ লিখলেন বা টিউটোরিয়াল লিখলেন। আপনার ফ্রেন্ড লিস্টের কেউ একটা বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলো সেটি আপনি সুন্দর করে লিখে তাকে ব্লগ লিংক টা দিলেন।
এভাবে সে আপনার ব্লগ টা পড়লো এভাবেই আস্তে আস্তে ভিজিটর বারে জনপ্রিয়তা বারে তারপর ইনকাম হয়। তারপর আপনি ফ্রিতেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপওয়ার্ক বা ফাইবার থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই জানেন যে আওয়ার্ক বা ফাইবার ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। এই সম্পর্কে শুরুতে জানাই নাই কারণ এখানে কাজ করে প্রফেসনাল লোকেরা।
উপরের কাজগুলো আপনি আয়ত্তে অনকে আস্তে আস্তে আপনি প্রফেসনাল হতে থাকবেন এবং একসময় এই মার্কেট গুলোতে নিজের বায়োডাটা প্রকাশ করতে পারবেন।
আর সেখান থেকেই ইনকাম করতে পারবেন লাখ থেকে কোটি কোটি টাকা। তাই আগে নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। আর সেটা একদিনেই হয়ে যায় না। নিয়মিত ঘাটাঘাটি করুন তাহলেই হবে।
আপওয়ার্ক বা ফাইবার একটি মার্কেটপ্লেস এখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের বিভিন্ন কাজের ডাটা দেয় এবং ক্লায়েন্টরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকার বিনিময়ে কাজ করিয়ে নেয়। ধরুন, আপনি ফেসবুক আইডি খুলতে পারেন এবং ডিটেলস দিয়ে আইডি টা সাজিয়ে গুছিয়ে দিতে পারেন যেমন নাম, বায়ো, ফটো ইত্যাদি।
আপনি এই সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস দিলেন ওই মার্কেটপ্লসগুলোতে যে আপনি ফেসবুক আইডি খুলতে পারেন 1$ বা ১০০ টাকার বিনিময়ে। তো দেখবেন আপনি অনেক অর্ডার পাবেন।
আপনি হয়তো ভাবছেন এই লোক পাগল নাকি যে ফেসবুক আইডি খুলাবে তাও আবার টাকা দিয়ে। আসলে যারা অনেক বড় বড় কাজ করে তাদের কাছে ১০০ টাকা কোনো ব্যাপার না কিন্তু সে যদি একটা আইডি খুলে আবার কাস্টোমাইজ করে তাহলে তার অনেক সময় নষ্ট হবে যা ওই ১০০ টাকার চেয়েও বেশি।
তাই সে আপনাকে দিয়েই কাজটি করিয়ে নেয় আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তবে আমি শুধু ফেসবুক আইডি খুলার উদহারন দিয়েই বুঝলাম। আসলে আপনাকে আরো কাজ শিখতে হবে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি।
কারণ আপনি যত ভালো কাজ পারবেন আপনার ইনকাম ততো বেশি হবে। আর এসব মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে কোনো ফি দিতে হয় না। তাই আপনি ফ্রিতেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি কাজ যদি ভালো না হয় ক্লায়েন্ট যদি নেগেটিভ রিভিউ দেয় তাহলে আপনার একাউন্ট টি ব্লক করে দিবে। তাই অল্প জেনেই এসব করতে যাবেন না। কাজ শিখে বেশি বেশি রিসার্স করে তারপর যাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
💡আরও দেখুন: মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়।
রিভিউ দিয়ে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়
রিভিউ অনেক গুরুত্বপূর্ন একটা জিনিষ। আমরা যখন একটা অ্যাপ ডাউনলোড করি যারা সচেতন তারা রিভিউ দেখে বিস্তারিত দেখে ডাউনলোড করি। কারণ অনেক ফেইক অ্যাপ থাকে যেগুলো ডাউনলোড করলে আমাদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবার আমরা কোনো অনলাইন শপ থেকে কোনো প্রোডাক্ট কিনতে গেলে তার রিভিউ দেখে কিনি। এই রিভিউ গুলো দিয়ে আপনি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। রিভিউ কি? রিভিউ হলো মন্তব্য টাইপের জিনিষ। ধরেন একটা অ্যাপ রিসেন্টলি গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করা হয়েছে।
এখন সেটার রিভিউ দেওয়ার জন্য ওই কোম্পানি বিজ্ঞাপন বা জানিয়েছেন। আপনি রিভিউ দিলেন যে এই অ্যাপটি অনেক ভালো আমি এই অ্যাপটি ডাউনলোড করেছি অনেক ভালো কাজ করে ইত্যাদি ইত্যাদি এই মন্তব্যগুলো হলো রিভিউ। তো আপনি এরকম রিভিউ দেওয়ার মাধ্যমে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অ্যাড দেখে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়
আমরা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাই বলা থাকে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করুন টাকা নিন বিকাশে। হ্যা সত্যি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করা যায়। বিভিন্ন কোম্পানি বা ডেভলপার রা তাদের অ্যাপ এর মধ্যে অ্যাড ভিউ সিস্টেম করে দেয় এবং সেগুলো দেখতে হয় তার বিনিময়ে আপনাকে তারা নির্দিষ্ট টাকা দিবে।
এই কাজটি আমি শুরুতে করতাম। অনেক অল্প টাকা পেতাম তবুও অভিজ্ঞতা হইছে তাই জন্যই তো আপনাদের জানাতে পারতেছি। অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম এর কাজগুলো বেশিরভাগ ই ধোঁকাবাজি হয়ে থাকে এর কারণ হলো এতে ইনকাম কম।
তাই পূর্বের পেমেন্ট হিস্টোরি আর সত্যতা যাচাই বাছাই করে এই কাজগুলো করবেন। প্রতারিত হলে আমরা দায়ী থাকবো না। আমরা শুধু আপনাদের সত্যটা জানানোর চেষ্টা করি।
কন্টেন্ট লিখে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়
কন্টেন্ট হলো একটা বিষয় অর্থাৎ এইযে আমি এই নিবন্ধটি লেখছি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে এরকম বিভিন্ন টপিক এর উপর লেখালেখি করাই হলো কন্টেন্ট।
আপনি যদি এইরকমভাবে লেখালেখি করতে জানেন তাহলে সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। বরতমানে কন্টেন্ট রাইটারদের অনেক চাহিদা। তাই আপনি যদি এই কাজটি করতে চান তাহলে জানুন কিভাবে কন্টেন্ট লিখতে হয়। আপনি যদি কন্টেন্ট লেখা শিখতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আর ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সেরা ওয়েবসাইট হলো teplive.com আপনারা এই ওয়েবসাইট থেকে অনেক উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি কন্টেন্ট লিখতে পারেন তাহলে এই ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট প্রকাশ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আবার আপনি অ্যাফিলিয়েট বা আপনার কোনো প্রোডাক্ট প্রমোট করতে এই ওয়েবসাইট টি ব্যাবহার করতে পারেন। এজন্য আপনি এই ওয়েবসাইটের যোগাযোগ পেইজে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকে বুঝে আবার অনেকে বুঝে না। ধরুন আমি একটা প্রোডাক্ট তৈরি করেছি সেটা সেল হচ্ছে না। আপনি আমাকে বললেন ভাইয়া আমি আপনার প্রোডাক্ট টি বিক্রি করতে সাহায্য করবো আমাকে বিনিময়ে কিছু টাকা বা শেয়ার দিতে হবে।
আমি রাজি হলাম এখন আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে আলোচনা করলেন বা জানালেন দেখা গেলো আপনার বন্ধুদের মধ্যে একজন বলে উঠল ভাই আমার এই প্রোডাক্ট টি প্রয়োজন।
এখন আপনি ঐ বন্ধুকে আমার কাছে নিয়ে আসলেন এবং আপনার দ্বারা প্রোডাক্ট টি বিক্রি করতে পারলাম। তাই বিক্রির দামের 15% আপনাকে দিলাম। এভাবেই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করত এপানি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। গ্লোবাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
আর যদি বাংলাদেশে অ্যাফিলিয়েট করতে চান তাহলে দরাজ সহ অন্যান্য মার্কেট এর অ্যাফিলিয়েট করতে পারেন। অনেক স্টুডেন্ট কে দেখি টেন মিনিট স্কুল বা শিখোর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতেছে তাও আবার ঘরে বসেই অবসর সময়ে।
আপনিও চাইলে তাদের প্রোডাক্ট বা কোর্স গুলো বিক্রি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আশা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করে কিভাবে তা বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের শেষকথা
বন্ধুরা আজকে আমরা ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারছি। আসলে বিস্তারিত জানাতে গেলে পোস্ট একটু বড়ো হবেই। তবে পোস্টটি পড়ে আপনি অনে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছেন এটা আমি আশাবাদী।
ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা মোটেও সহজ কোনো কাজ না। পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় ছাড়া আপনি কোনো কাজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। তাই লেগে থাকতে হবে।
অনেকে আছে এক লাফে তালগাছে উঠতে চায় আসলে কিন্তু তা সম্ভব না। একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে নিয়মিত এসব বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হবে।
তাইলে একসময় দেখবেন আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন। এই সময়টা নূন্যতম ছয় মাস থেকে এক বছর হয়ে থাকে। তাই একদিন দুদিন কাজ করেই ধৈর্যহিন হওয়া যাবে না।
আশা করি আপনাদের কাছে এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। পোস্টের লিঙ্ক কপি করে ফেসবুক আইডিতে একটা পোস্ট করে দিন বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিন। আজকে এই পর্যন্তই সবাইকে ধন্যবাদ।
Telegram GroupJoin Now
Facebook PageFollow Now