অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (100% কমন সাজেশন)
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর |
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ আসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় শিক্ষার্থী আসা করি ভালো আছেন। আপনি কি অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর জানতে চাচ্ছেন? যদি আপনার উত্তর হ্যা হয় তাহলে এই পোস্ট টি আপনার অত্যন্ত উপকারে আসবে।
কেননা আজকের পোস্টে আমরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত অপরিচিতা গল্পের গুরুত্বপূর্ণ লাইন এবং প্রশ্ন উত্তর সহ দিয়েছি যেগুলো পড়ে গেলে আপনার বোর্ড পরীক্ষা এবং অ্যাডমিশন পরীক্ষা যে কোন পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারবেন। তাই আশা করবো মনোযোগ সহকারে প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো পড়বেন।
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর এর জন্য এই পোস্ট টি কেন পড়বেন?
প্রিয় শিক্ষার্থী, আমরা নানাদিক বিচার করে আপনাদের ভালোর দিক চিন্তা করে আমরা পোস্ট টি সুন্দর ভাবে সাজিয়েছি। তাই এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়লে এবং ভিডিও টি দেখলে আশা করি অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
আমরা অধিক প্রশ্ন না পড়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো জানলেই হবে। একটা গল্পে ১০০/২০০ সৃজনশীল প্রশ্ন থাকতে পারে তাই বলে কি সব প্রশ্ন পড়ে সময় নষ্ট করতে হবে! না, আমরা যদি শুধু টপিক টা ভালোভাবে জেনে নেই তাহলে সব প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারবো।
অপরিচিতা গল্পের গুরুত্বপূর্ণ লাইন সমূহঃ
- আজ আমার বয়স সাতাশ মাত্র।
- তিনি আমার থেকে বড়োজোর বছর ছয়েক বড়।
- ওকালতি করিয়া তিনি প্রচুর টাকা রোজগার করিয়াছেন।
- কন্যার পিতা মাত্রেই স্বীকার করবেন, আমি সৎপাত্র।
- এককালে ইহাদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল।
- মেয়ের বয়স যে পনেরো, তাই শুনে মামার মন ভার হইলো।
- বিনুদা ফিরে আসিয়া বলিলেন, "মন্দ নয় হে! খাটি সোনা বটে!"
- আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চাশরের কোন বিরোধ নেই।
- বিবাহ উপলক্ষে কন্যাপক্ষকেই কলিকাতায় আসিতে হইলো।
- "বাবাজি" একবার এইদিকে আসতে হচ্ছে।
- মামা বলিলেন, 'অনুপম এখানে কি করিবে। ও সভায় গিয়ে বসুক।'
- শম্ভুনাথ বলিলেন, 'না, সভায় নয়, এখানেই বসিতে হবে।'
- সেকরা কহিলো, 'ইহা বিলাতি মাল, ইহাতে সোনার ভাগ সামান্যই আছে।'
- ঠাট্টার সম্পর্ক স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই।
অপরিচিতা গল্পের লিখিত অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নঃনোত্তরঃ
প্রশ্নঃ আমরা যেখানে চমৎকার বলি, সেখানে বিনুদা কি বলেন?
উত্তরঃ চলনসই।
প্রশ্নঃ সাতাশ বছর বয়সে একটু কি আছে?
উত্তরঃ বিশেষ মূল্য।
প্রশ্নঃ অনুপমের আসল অভিভাবক কে?
উত্তরঃ মামা
প্রশ্নঃ দৈর্ঘ বা গুনের বিচারে কোন জীবনটা বড় নয়?
উত্তরঃ সাতাশ বছর বয়সের জীবন।
প্রশ্নঃ মামাকে ভাগ্য দেবতার এজেন্ট বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ মতামতের জন্য।
প্রশ্নঃ গজানন কাকে বলে? অথবা, গজানন অর্থ কি?
উত্তরঃ গজ (হাতি) আনন যার/ গনেশ।
প্রশ্নঃ 'আন্দামান দীপ' কোন সাগরের সীমানাভুক্ত?
উত্তরঃ বঙ্গোপসাগর।
প্রশ্নঃ 'অপরিচিতা' গল্পে ফুলের বুকের ওপর কি এসে বসেছিল?
উতরঃ ভ্রমর।
প্রশ্নঃ সেই ইতিহাসটুকু আকারে ছোট - এখানে কিসের ইতিহাসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ অনুপমের সাতাশ বছরের জীবনের।
প্রশ্নঃ অনুপম তার মামাকে কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তরঃ ফল্গুর সাথে।
প্রশ্নঃ বিনুদার ভাষাটা কেমন?
উত্তরঃ অত্যন্ত আঁট।
প্রশ্নঃ কি কারনে মামার মুখ অনর্গল ছুটতেছিল?
উত্তরঃ ধন-মানের বাগাড়ম্বরে।
প্রশ্নঃ তখন আমার বয়স- তেইশ, এখন হইয়াছে সাতাশ। কে বলেছিল?
উত্তরঃ অনুপম।
প্রশ্নঃ অপরিচিতা গল্পে পণ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ প্রতিজ্ঞা।
প্রশ্নঃ কারা অনুপমের ছোট লেখার রস বুঝবেন?
উত্তরঃ ছোটকে যারা সামান্য বলে ভুল করে না।
প্রশ্নঃ অনুপমের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি?
উত্তরঃ এম.এ.
প্রশ্নঃ কার ওপর অনুপম ষোলো আনা নির্ভর করতে পারে?
উত্তরঃ বিনুদার ওপর।
প্রশ্নঃ ওহে মেয়ে যদি বলো একটি খাসা মেয়ে আছে। - কথাটি কার?
উত্তরঃ হরিশের।
প্রশ্নঃ অনুপমের মা কেমন ঘরের মেয়ে?
উত্তরঃ গরিব ঘরের।
প্রশ্নঃ কাকে দেখলে অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাই বলে মনে হবে?
উত্তরঃ অনুপমকে।
প্রশ্নঃ অপরিচিতা গল্পে - 'ফল্গুর বালি' বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ সবকিছু আগলে রাখা।
প্রশ্নঃ হরিশ ছুটিতে কোথায় এসেছিল?
উত্তরঃ কলকাতায়।
প্রশ্নঃ মামা কাকে পেলে ছাড়তে চান না?
উত্তরঃ হরিশকে।
প্রশ্নঃ বিয়ের কতদিন পূর্বে কন্যার পিতা পাত্রকে দেখেন?
উত্তরঃ তিন দিন।
প্রশ্নঃ অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর বিয়ে না করার কারণ কি ছিল?
উত্তরঃ আত্মমর্যাদা।
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৪
সৃজনশীল প্রশ্ন ০১ঃ ভবিষ্যতের সুখ-স্বপ্নে বিভোর রিপন-রিতার বিয়ের দিন হঠাৎ দৃশ্যপট পাল্টে গেলো। বর রিপনের বাবা বিয়ের আগেই যৌতুকের সমস্ত টাকা পেতে চায়। কোণের পিতা সুজিত বাবু মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সেই শর্তে রাজি হলেও কন্যা রিতা তা মানতে রাজি হল না। বরপক্ষকে সে অপমান করে তাড়িয়ে দিল।
ক) 'গাড়িতে জায়গা আছে' - উক্তিটি কার?
খ) 'আমি তো চমকাইয়া উঠিলাম' - কথাটি বুঝিয়ে লিখো।
গ) সুজিত বাবুর সাথে শম্ভুনাথ চরিত্রটি কোন দিক দিয়ে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) 'উদ্দীপকের রিতা অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর চেয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে বেশি সক্রিয়' - মন্তব্যটির গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরো।
উত্তরঃ (ক) 'গাড়িতে জায়গা আছে' - উক্তিটি কল্যাণীর।
উত্তরঃ (খ) আলোচ্য কথাটির মাধ্যমে কল্যাণীর সুমধুর কন্ঠ শুনে অনুপমের চমকে ওঠা ভাবকে বোঝানো হয়েছে। কানপুর স্টেশনে অনুপম একটি নারী কন্ঠ শুনে মুগ্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে অনুপমের হৃদয়পটে সেই কন্ঠস্বরটি বাজতে থাকে। পরে যখন অনুপম গাড়িতে জায়গা পাচ্ছিল না এমন সময় সেই মেয়েটি অনুপমের মাকে লক্ষ্য করে বলে তাদের গাড়িতে জায়গা আছে এবং সেখানে গিয়ে বসতে। আর এভাবেই সেই কন্ঠটি আবার শুনে অনুপম চমকে ওঠে। এখানে মূলত কল্যাণীর আশ্চর্য সুন্দর কণ্ঠস্বর শুনে বিরহী অনুপমের একটি মানসিক অবস্থাকে বোঝানো হয়েছে।
উত্তরঃ (গ) উদ্দীপকে সুজিত বাবুর সাথে শম্ভুনাথ চরিত্রটি ব্যক্তিত্ববোধের প্রকাশের দিক দিয়ে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
অপরিচিতা গল্পে শম্ভুনাথ সেন একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বোধ মানুষ। তিনি নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে যৌতুক লোভী পরিবারে মেয়ের বিয়ে দিতে চাননি। তাই অনুপমের মামা যখন মেয়ের গহনা যাচাই করতে সেকরাকে সাথে করে আনে তখন তার আত্মসম্মানে লাগে। এজন্য তিনি বরপক্ষকে সসম্মানে বিদায় করে দেন।
উদ্দীপকে কনের পিতা সুজিত বাবুর মধ্যে গল্পের শম্ভুনাথ সেনের ব্যক্তিত্ববোধের কোন প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় না। তিনি বর পক্ষের অন্যায়ের দাবি মেনে নিয়েই মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছেন যা গল্পের শম্ভুনাথ বাবু করেননি। এখানে সুজিত বাবুর সাথে শম্ভুনাথের চরিত্রটি সম্পূর্ণভাবে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
উত্তরঃ (ঘ) উদ্দীপকে রিতা সরাসরি অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেও অপরিচিত গল্পের কল্যাণীকে আমরা অপরাধের সরাসরি প্রতিবাদ করতে দেখি নি।
তাই প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ বলে বিবেচিত যুগ যুগ ধরে যৌতুক প্রথার নির্মমতার শিকার হচ্ছে নারীরা। হীন স্বার্থবাদী পুরুষতান্ত্রিকতা নারীকে অর্থকড়ির মানদণ্ডে বিচার করে। বর্তমানে কিছু শিক্ষিত সচেতন নারীর যৌতুকের মতো সামাজিক প্রথাগুলো প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। এমন বাস্তবতা অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর মাঝে পরিলক্ষিত হয়। সে যৌতুকের বিরুদ্ধে পিতার আত্মসম্মানকে নীরবে সমর্থন করে নিজের যৌতুক বিরোধী চেতনাকে জানান দিয়েছে। উদ্দীপকে রিতা অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহী নারী। সেই যৌতুক লোভীদের অপমান করে বিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ব্যক্তিত্বপূর্ণ ও স্বাধীন নারী সত্তার কারণে সে অন্যায়ের প্রথা কে প্রশ্রয় দেয়নি। কিন্তু অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীকে প্রত্যক্ষভাবে এ ধরনের প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা যায়নি অপরিচিত গল্পে যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে নারীর নীরব প্রতিবাদ ফুটে উঠেছে। বরের মামা যখন বিয়ের আগে যৌতুকের গয়না যাচাই করতে গিয়ে অপমানজনক আচরণ করে। তখন কল্যাণীর বাবা বিয়ে ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি সে নীরবে সমর্থন করে। কিন্তু বরপক্ষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেননি। অন্যদিকে উদ্দীপকে রিতা কিন্তু নীরব থাকেননি, সে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ করে বরপক্ষকে তাড়িয়ে দেন। এই কারণে প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটি গ্রহণযোগ্য এবং যথার্থ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ০২ঃ বিয়ের আসরে দেনা পাওনা বিষয়কে কেন্দ্র করে তুমুল বাগ বিতণ্ডার এক পর্যায়ে বরের চাচা বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও আতিফ চাচার কথায় সাড়া দিয়ে আসর থেকে ফিরে আসে। কিন্তু তার চোখে ভেসে ওঠে আফিয়ার বিবর্ণ মুখ, তার পিতার করুন চাহনি।
ক) অনুপমের আসল অভিভাবক কে?
খ) 'এসব কথায় আমার সম্পূর্ণ অনাদিকায় অনধিকার' কোন প্রসঙ্গে কেন বলা হয়েছে?
গ) উদ্দীপক ও অপরিচিতা গল্পের বৈসাদৃশ্য চিহ্নিত কর।
ঘ) 'যৌতুক প্রথা বিবাহ সম্বন্ধে বিপর্যয় বয়ে আনে' - উদ্দীপক ও 'অপরিচিতা' গল্পের আলোকে তোমার মতামত ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ (ক) অনুপমের আসল অভিভাবক হলেন তার মামা।
উত্তরঃ (খ) অনুপমের যৌতুক লোভী মামা যখন কনের সব গহনা যাচাই করতে চাইলেন তখন কনের বাবা অনুপমের মতামত জানতে চাইলো। তখন অনুপম এই কথাটি বললেন, অনুপমের বিয়ের লগ্ন উপস্থিত হলে তার লোভী মামা কল্যাণীর সমস্ত গয়না পরখ করার জন্য সেকরাকে ডেকে নিয়ে আসেন। তখন কনের বাবা শম্ভুনাথ সেন অনুপমের মতামত জানতে চাইলেন। কিন্তু অনুপম ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তার অভাবের কারণে তিনি তার মামার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারলেন না। তাই মামার অন্যায় অবদারেও চুপ করে থাকেন এবং বললেন এসব ব্যাপারে কথা বলার অধিকার তার নেই।
উত্তরঃ (গ) উদ্দীপকের আতিকের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনাটি প্রেক্ষাপটগত দিক থেকে অপরিচিতা গল্পের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
অপরিচিতা গল্পটিতে যৌতুক প্রথার বিরোধী কাহিনি বিধৃত হয়েছে। এ গল্পে পিতা শম্ভুনাথ সেন ও কন্যা কল্যাণী ঘৃণ্য যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অনুপমের মামা যখন কন্যার গায়ের গয়না যাচাই করতে চান তখন কন্যার বাবা সে বিয়ে ভেঙে দেন।
উদ্দীপকে দেখা যায় যৌতুকের জন্য আফিয়ার বিয়ে ভেঙে যায়। বরের চাচা দেনা পাওনা কে কেন্দ্র করে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দীপকে বরের পক্ষ থেকে বিয়ে ভাঙ্গা হলেও গল্পে কনে পক্ষই বিয়ে ভেঙ্গে দেন। যৌতুক নিয়ে কন্যার অবমাননার প্রতিবাদে শম্ভুনাথ সেন কন্যা সম্প্রদানে অসম্মতি জানান। শম্ভুনাথ সেনের প্রবল ব্যক্তিত্ববান চরিত্রটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত। উদ্দীপকে বরপক্ষের যৌতুকের জন্য বিয়ে ভেঙে দেওয়া এবং কন্যা পক্ষের বিপর্যস্ততার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অপরদিকে গল্পে কন্যা পক্ষই অপমানের প্রতিবাদে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়।
উত্তরঃ (ঘ) উদ্দীপক ও অপরিচিতা গল্পে উভয় ক্ষেত্রেই যৌতুকের কারণে দুটো বিয়েই ভেঙে যায় বলে আমরা জানতে পারি।
'যৌতুক প্রথা বিবাহ সম্বন্ধে বিপর্যয় বয়ে আনে' - অপরিচিত গল্পে অমানবিক যৌতুক প্রথার নির্মমতা তুলে ধরা হয়েছে। এ গল্পের সমগ্র ঘটনার কেন্দ্রে আছে এই সামাজিক অসংগতি। অনুপমের মামা বিয়ের আগে কল্যাণীর গহনা পরীক্ষা করা নিয়ে যে নীচতার পরিচয় দিয়েছেন, তাতে যৌতুক প্রথার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। আর এই যৌতুক প্রথার কারণে কল্যাণী ও অনুপমের বিবাহ সংঘটিত হয় না।
উদ্দীপকে দেখা যায় বিয়ের আসরে দেনা পাওনাকে কেন্দ্র করে তুমুল বাগ বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে বরের চাচা বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এমনকি বর আতিকের বিয়ে করার ইচ্ছা থাকলেও অসহায় ভাবে বিয়ের আসর ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এমনকি কনে এবং বোনের কনের বাবার বিবর্ণ চেহারা দেখেও সে চাচার সিদ্ধান্তের বাইরে যায় না।
উদ্দীপক ও অপরিচিতা উভয় গল্পের ক্ষেত্রেই যৌতুক প্রথার নির্মমতা উন্মোচিত হয়েছে অপরিচিতা গল্পে অনুপমের নিস্পৃহ মনোভাব এবং তার মামার যৌতুক নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে বিয়েটি ভেঙে যায়। শম্ভুনাথ কন্যার লগ্ন ভ্রষ্ট হওয়ার লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে বিয়েটি প্রত্যাখ্যান করেন।
অন্যদিকে উদ্দীপকেও বরের চাচার যৌতুক লোভী মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। বরের চাচা যৌতুকের লোভে বিয়ে ভেঙে দেন। উভয় ক্ষেত্রে দেখা যায় যৌতুক প্রথার কারণে দুটো সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারেনি। বিবাহের পূর্বেই সম্পর্কগুলো ভেঙে যায় তাই উল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ০৩ঃ চিত্র: যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করছে স্বামী।
ক) বিয়ের সময় অনুপমের বয়স কত ছিল?
খ) মামা কেন শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে যান?
গ) প্রদত্ত চিত্রের সঙ্গে অপরিচিতা গল্পের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ) কল্যাণীর প্রতিবাদী মানসিকতাই তাকে উদ্দীপকের মত পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচিয়েছে - উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ (ক) বিয়ের সময় অনুপমের বয়স ছিল তেইশ বছর।
উত্তরঃ (খ) অনুপমের মামা স্বীয় স্বার্থ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতনতার কারণে বিয়ের আগে কন্যার গয়না পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন বলে শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে আসেন।
অনুপমের মামার জীবনের লক্ষ্য হলো তিনি কারো কাছে কখনো ঠকবেন না। শম্ভুনাথ সেন গয়না কম দিয়ে বা খাদ যুক্ত গয়না দিয়ে তাকে ঠকাতে পারেন। এরূপ ভাবনা থেকে তিনি বিয়ের আগেই গয়না গুলো যাচাই করে দেখতে চান। আর এজন্যই শম্ভুনাথ বাবুকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে যান তিনি।
উত্তরঃ (গ) প্রদত্ত চিত্রে যৌতুকের নির্মম রূপটি ফুটে উঠলেও অপরিচিতা গল্পে যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিকটি ধ্বনিত হয়েছে, যা উদ্দীপক ও গল্পের মধ্যে বৈসাদৃশ্য তৈরি করেছে।
অপরিচিতা গল্পে কল্যাণী এবং তার বাবা শম্ভুনাথ সেনের মানসিকতায় যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চেতনার প্রকাশ পেয়েছে। তার মেয়ে কল্যাণীকে যৌতুকের বলি হতে দিতে চাননি তিনি। তাই পাত্রপক্ষের সীমাহীন যৌতুকলোভী মানসিকতার সামনে প্রতিরোধের দেয়াল তুলে দিয়েছেন। মেয়েকে যৌতুকী পরিবারের হাতে তুলে দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেছেন। মেয়ে কল্যাণীও বাবার সঙ্গে একমত হয়ে যৌতুকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
উদ্দীপকের চিত্রের যৌতুক লোভী মানসিকতার বলি হতে দেখা যায় এক নারীকে। যৌতুকের জন্য শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার এই নারী স্বামীর কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য তার স্বামীর এই শারীরিক নির্যাতন নির্মমতার চরম রূপ পরিগ্রহ করেছে। আর উদ্দীপকের এই নির্মম রূপটি অপরিচিতা গল্পে ফোটে ওঠেনি সেখানে বরং যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রকাশ পেয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে অপরিচিতা গল্পের বৈসাদৃশ্য ফুটে উঠেছে।
উত্তরঃ (ঘ) যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে না পারলে অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীও উদ্দীপকের মত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারত। যা প্রশ্নোত্তর উক্তিটি কে যথার্থ করে তুলেছে।
অপরিচিতা গল্পে কল্যাণী একটি প্রতিবাদী চরিত্র। সে যৌতুকের কাছে মাথা নত করেনি। যৌতুকলোভী পরিবারে বিয়ে না করে দেশসেবায় ব্রত গ্রহণ করেছে সে। কল্যাণীর এই মানসিকতা তাকে ভবিষ্যতের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। বিয়ের পরও তার বাবার যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। উদ্দীপকের যৌতুকের জন্য একজন নারীকে নির্যাতনের শিকার হতে দেখা যায় যেখানে স্বামী তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য অত্যাচার করছে। স্বামীর এই দাবির কাছে কোন প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারছে না স্বামীর সাথে তার বিয়ে না হলে তার জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো। অপরিচিতা গল্পে দেখা যায় কল্যাণী যৌতুক বিরোধী মানসিকতার কারণে নিজের মতো জীবন বেছে নিয়েছে।
অন্যদিকে উদ্দীপকের চিত্রে দেখা যায়, যৌতুকের কারণে স্বামীর দ্বারা নারীকে নির্যাতিত হতে। গল্পের কল্যাণীর যদি যৌতুক লোভী পরিবারে বিয়ে হতো তাহলে উদ্দীপকের চিত্রের মত পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। ফলে কল্যাণীর যৌতুক বিরোধী মানসিকতাই তাকে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে দেয়নি। তাই প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ বলে প্রতীয়মান হয়।
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ ডাউনলোড
অনেকেই আছেন যারা অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর PDF খুজেন তাদের জন্য নিচে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ দিয়ে দিয়েছি। নিচের ডাউনলোড লেখায় ক্লিক করে সরাসরি গুগোল ড্রাইভ থেকে পিডিএফ টি নামিয়ে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে এই পোস্ট টি আগে পড়ে নিতে পারেন - যেকোনো ফাইল কিভাবে ডাউনলোড করতে হয়?
অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ভিডিও
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করি অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন। অপরিচিতা গল্প সম্পর্কে যে সকল প্রশ্ন ছিল তার সকল উত্তর ইতিমধ্যেই এই পোস্টে পেয়ে গেছেন। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ লাইন এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর গুলো ভালোভাবে আরেকবার দেখে যাবেন।
এখানে যে প্রশ্ন গুলো রয়েছে এবং ভিডিও তে যে বিষয় গুলো বলা হয়েছে সেগুলো পড়লেই ইনশাল্লাহ অপরিচিতা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। আজকের পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আজকে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, খোদা হাফেজ।
Telegram GroupJoin Now
Facebook PageFollow Now